হনুমান চল্লিশা ভারতীয় ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম বই। প্রভু শ্রী হনুমানের ভক্তেরা এটি নিয়মিত পাঠ করে থাকেন। এটি প্রায় ৪০টি পংক্তি নিয়ে গঠিত।
হনুমান চল্লিশা’র প্রধান উদ্দেশ্য হল হনুমান দেবের আরাধনা করা। এটি ভক্ত তুলসীদাস সংস্কৃত ভাষায় রচনা করেন। যেহেতু এটি চল্লিশটি পংতি নিয়ে গঠিত, তাই চল্লিশা নামটি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রটি নিম্নরুপ –
শ্রীগুরু চরণ সরোজ রজ নিজমন মুকুর সুধারি ।
বরণৌ রঘুবর বিমল যশ জো দাযক ফলচারি ॥
বুদ্ধিহীন তনু জানিকৈ সুমিরৌ পবন কুমার ।
বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি হরহু কলেশ বিকার ॥
ধ্যান
গোষ্পদীকৃত বারাশিং মশকীকৃত রাক্ষসম্ ।
রামাযণ মহামালা রত্নং বংদে-(অ)নিলাত্মজম্ ॥
যত্র যত্র রঘুনাথ কীর্তনং তত্র তত্র কৃতমস্তকাংজলিম্ ।
ভাষ্পবারি পরিপূর্ণ লোচনং মারুতিং নমত রাক্ষসাংতকম্ ॥
চৌপাঈ
জয হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর ।
জয কপীশ তিহু লোক উজাগর ॥
রামদূত অতুলিত বলধামা ।
অঞ্জনি পুত্র পবনসুত নামা ॥
মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী ।
কুমতি নিবার সুমতি কে সংগী ॥
কাঞ্চন বরণ বিরাজ সুবেশা ।
কানন কুন্ডল কুঞ্চিত কেশা ॥
হাথ বজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ ।
কানধে মুঞ্জ (মুনজ) জূনেউ সাজৈ ॥
শংকর সুবন কেসরী নন্দন ।
তেজ প্রতাপ মহা জগ বন্দন ॥
বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর ।
রাম কাজ করিবে কো আতুর ॥
প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিযা ।
রামলখন সীতা মন বসিয়া ॥
সূক্ষ্ম রূপধরি সিয়াহি দিখাবা ।
বিকট রূপধরি লংক জলাবা ॥
ভীম রূপ ধরি অসুর সংহারে ।
রামচন্দ্র কে কাজ সবারে ॥
লায় সজীবন লখন জিয়ায়ে ।
শ্রী রঘুবীর হরষি উরলাযে ॥
রঘুপতি কীন্হী বহুত বড়ায়ী ।
তুম মম প্রিয ভরত সম ভায়ী ॥
সহস্র বদন তুম্হরো যশ গাবৈ ।
অস কহি শ্রীপতি কংঠ লগাবৈ ॥
সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা ।
নারদ শারদ সহিত অহীশা ॥
য়ম কুবের দিগপাল জহা তে ।
কবি কোবিদ কহি সকে কঁহা তে ॥
তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা ।
রাম মিলায রাজপদ দীন্হা ॥
তুম্হরো মন্ত্র বিভীষণ মানা ।
লংকেশ্বর ভযে সব জগ জানা ॥
যুগ সহস্র যোজন পর ভানূ ।
লীল্যো তাহি মধুর ফল জানূ ॥
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী ।
জলধি লাংঘি গয়ে অচরজ নাহী ॥
দুর্গম কাজ জগত কে জেতে ।
সুগম অনুগ্রহ তুম্হরে তেতে ॥
রাম দুআরে তুম রখবারে ।
হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে ॥
সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা ।
তুম রক্ষক কাহূ কো ডরনা ॥
আপন তেজ সম্হারো আপৈ ।
তীনো লোক হাঁক তে কাঁপৈ ॥
ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ ।
মহবীর জব নাম সুনাবৈ ॥
নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা ।
জপত নিরন্তর হনুমত বীরা ॥
সংকট সে হনুমান ছুডাবৈ ।
মন ক্রম বচন ধ্যান জো লাবৈ ॥
সব পর রাম তপস্বী রাজা ।
তিনকে কাজ সকল তুম সাজা ॥
ঔর মনোরথ জো কোয়ি লাবৈ ।
তাসু অমিত জীবন ফল পাবৈ ॥
চারো যুগ প্রতাপ তুম্হারা ।
হৈ প্রসিদ্ধ জগত উজিয়ারা ॥
সাধু সন্ত কে তুম রখবারে ।
অসুর নিকংদন রাম দুলারে ॥
অষ্ঠসিদ্ধি নব নিধি কে দাতা ।
অস বর দীন্হ জানকী মাতা ॥
রাম রসাযন তুম্হারে পাসা ।
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা ॥
তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ ।
জন্ম জন্ম কে দুখ বিসরাবৈ ॥
অন্ত কাল রঘুপতি পুরজায়ী ।
জহা জন্ম হরিভক্ত কহাযী ॥
ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরয়ী ।
হনুমত সেযি সর্ব সুখ করয়ী॥
সংকট ক(হ)টৈ মিটৈ সব পীরা ।
জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা ॥
জৈ জৈ জৈ হনুমান গোয়য়ী ।
কৃপা করহু গুরুদেব কী নায়ী ॥
জো শত বার পাঠ কর কোয়ী ।
ছূটহি বন্দী মহা সুখ হোয়ী ॥
জো যহ পডৈ হনুমান চালীসা ।
হোয সিদ্ধি সাখী গৌরীশা ॥
তুলসীদাস সদা হরি চেরা ।
কীজৈ নাথ হৃদয মহ ডেরা ॥
দোহা
পবন তনয সংকট হরণ – মংগল মূরতি রূপ্ ।
রাম লখন সীতা সহিত – হৃদয় বসহু সুরভূপ্ ॥
Leave a Reply