নিউজ ডেস্ক – ভারতের কৃষিক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক সাফল্য ধরা পড়ল এই বছর। কৃষি মন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে গম উৎপাদন পৌঁছেছে ১১.৫৪ কোটি মেট্রিক টন (115.4 Million MT)। এটি গত বছরের ১১.৩৩ কোটি টনের থেকেও বেশি এবং সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
💰 অর্থনীতি ও রাজস্ব
গম ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাদ্যশস্য (ধানের পরেই)। এই রেকর্ড উৎপাদন দেশের খাদ্যনিরাপত্তা মজবুত করার পাশাপাশি রাজস্ব বাড়াবে।
• রপ্তানি সম্ভাবনা: ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদক (চীনের পরেই)। অতিরিক্ত উৎপাদন আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির সুযোগ তৈরি করবে।
• দেশীয় বাজার: ময়দা, আটা, বিস্কুট, রুটি— প্রতিটি শিল্পেই গমের চাহিদা বাড়ছে। রোলার ফ্লাওয়ার মিলগুলির জন্য এটি বড় স্বস্তি।
• রাজস্ব বৃদ্ধি: কৃষি অর্থনীতিবিদদের মতে, গম উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে কৃষকদের আয় বাড়বে এবং সরকারের খাদ্য ভাণ্ডার আরও শক্তিশালী হবে।
📊 তথ্য ও পরিসংখ্যান
• ২০২৩-২৪ সালে উৎপাদন: ১১.৩৩ কোটি টন
• ২০২৪-২৫ সালে উৎপাদন: ১১.৫৪ কোটি টন (রেকর্ড)
• মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন: ৩৩০.৯২ কোটি টন (৫% বৃদ্ধি)
• অন্য ফসলের উৎপাদন: ছোলা ১.১৫ কোটি টন, সরিষা ১.২৮ কোটি টন, মসুর ১৮.২ লাখ টন
🌍 দেশের প্রেক্ষাপটে এই সাফল্যের গুরুত্ব
• খাদ্য নিরাপত্তা: দেশের ১৪০ কোটির বেশি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত।
• গ্রামীণ অর্থনীতি: কৃষকের হাতে নগদ অর্থ বাড়লে গ্রামীণ বাজারে চাহিদা বাড়ে।
• আন্তর্জাতিক অবস্থান: ভারত এখন শুধু ভোক্তা নয়, বরং বৈশ্বিক খাদ্যশস্য বাজারে এক শক্তিশালী খেলোয়াড়।
🌾 মানবিক দিক: কৃষকের কণ্ঠে সাফল্যের গল্প
বর্ধমানের কৃষক বলতে পারেন,“গত বছর খরার কারণে চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু এ বছর আবহাওয়া ভালো ছিল, সরকারও বীজ আর সার সময়মতো দিয়েছে। ফলে ফলন বেড়েছে। বাজারে দামও ভালো পাচ্ছি।”
অন্যদিকে নদীয়ার কৃষক বলতে পারেন,“গম আগে শুধু পাঞ্জাব-হরিয়ানার কথা শুনতাম। এখন বাংলাতেও ভালো ফলন হচ্ছে। আমাদের মতো ছোট কৃষকের জন্য এটা বড় ভরসা।”
Leave a Reply